শ ম দেলোয়ার জাহান:
স্বপ্ন সবসময় সত্যি হয়। আবার হয়ত সত্যি হয় না। জীবনে বেঁচে থাকার জন্য মানব জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করে। জীবিকায়ন দক্ষতা একটি জীবনের অংশবিশেষ। স্বপ্ন মানবকে জীবনের সঠিক চূড়ায় পৌঁছাতে সহায়তা করে। জীবন ও স্বপ্ন কখনোই সফলতার বাহিরে উন্নতি সম্ভব নয়। মানব জন্মের পরে যখন বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে একটি একটি স্বপ্ন চোখে দেখে, তখন আশা আকাঙ্ক্ষার মাঝে তা বাস্তবে রুপান্তরিত করতে চায়৷ চোখে মুখে প্রতিটি ধাপে ধাপে স্বপ্ন দেখে। স্বপ্ন সত্যি কখন হবে সে আশায় থাকে। স্বপ্ন কখন বাস্তবে রুপ নিবে সে আশায় থাকে। মানব জীবন এক কঠিন পরীক্ষার জীবন। জীবন সংগ্রামে প্রতিনিয়ত মানব যুদ্ধ করে চলছে। কেউ কেউ কঠিন সময়ে জীবনকে দুঃখ কষ্টের সাথে নিয়ে দিনাতিপাত করছে। কারো জীবনে সুখ, কারো জীবনে দুঃখ, কারো জীবনে হাসি, কারো জীবনে কান্না এই নিয়েই স্বপ্ন এবং জীবন। বাঁচার তাগিদে জীবন, সফলতার তাগিদে স্বপ্ন। এই দুটোই মানব জীবনের সঙ্গী। ছোটবেলায় মাতা পিতা বলত, দুঃখ-কষ্ট করলে জীবনে অনেক বড় হবে, স্বপ্ন দেখবে, মানুষের মতো মানুষ হবে। তখন সুখ-শান্তিতে বসবাস করবে। আসলে কি তাই? না, আসলে তাই! আবার অনেকের মতে, তাই! সবকিছুই সম্ভব। চেষ্টা ব্যতীত যে কোন শ্রম ও কষ্টের মূল্য নেই। একমাত্র চেষ্টাই সফলতার চাবিকাঠি হয়ে স্বপ্ন নিয়ে মানুষের মতো মানুষ হতে পারবে। সবার চোখে স্বপ্ন থাকে। বহিঃপ্রকাশ দেখা দেয়। বাস্তবে রুপ নিতে পারবে কি না চিন্তা চেতনায় মগ্ন থাকে। আসলে একটু চেষ্টা করলেই সম্ভব। সেই শৈশবের স্মৃতিগুলোর কথা মনে পড়ে যায়। যখন আমরা দেখতাম, পিতা-মাতার কষ্ট, শ্রম কেমন ছিল? কেমন দিনকাল ছিল? তা থেকেই অনুভব করতে পারা যায়। চোখে দেখা বাস্তবে রুপ প্রকাশ পায়। বাহ্যিক দিকে শ্রম, মেধা, বু্দ্ধি, চিন্তা, চেতনা, সময়, অর্থ সকল কিছু অনেক মানব জীবন ব্যয় করে থাকেন। দারিদ্র্য সমাজে দুঃস্থ্য, গরীব, অসহায়, ছিন্নমূল এসকল মানব স্বপ্ন দেখেই যায় বা যাবে। বাস্তবে কতটুকু রুপান্তরিত হবে আদৌ এর সমাধান পাবে না। দারিদ্র দেশের মান উজ্বল, ভাবমূর্তি সমুন্নত রাখতে হলে স্থানীয় সুশীল সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে। মেধা সম্পদ বেছে বেছে, খুঁজে খুঁজে বের করে দক্ষ জন সম্পদে পরিণত করতে হবে। তাহলে হবে কি, দেশের ও দশের দেশসেবা, জনসেবা করতে জন সম্পদে রুপান্তরিত হবে। তখন দেশ বা সমাজ সুনাগরিক জন সম্পদে পরিণত করতে পারবে। প্রতিটি ক্ষেত্রে দক্ষ জন সম্পদ উৎপাদন করতে পারলে রাষ্ট্রীয় সম্পদ হিসেবে বিদেশ থেকে আর কোন জন সম্পদ প্রয়োজন হবে না। আমাদের সমাজে বাঙ্গালী জাতি লোভ-লালসার শিকার সবচেয়ে বেশি। কোথায় চলে গেলে অর্থ বেশি পাওয়া যাবে? কোন দেশে গেলে বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া যাবে? এই যে লোভ-লালসা, এক পর্যায়ে ধ্বংসের মুখে বিলীন করে দেয়। এসব ভ্রান্ত ধারণা পরিহার করে আমাদের দেশে দক্ষ জনবল জন সম্পদে রুপান্তরিত করা সম্ভব। সকলেই সচেতন হলে সোনার বাংলাদেশে উন্নয়নশীল অর্থনীতি, উৎপাদন সবকিছু তৈরী করা সম্ভব। তখন একপর্যায়ে বৈদেশিক জন সম্পদ স্বদেশে রুপান্তরিত করতে পারলে স্বদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে ইতিহাসের পাতায় সোনার বাংলাদেশ লিখে রাখা যাবে। আমাদের বাঙ্গালীকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হবে না। পরনির্ভরশীল হতে হবে না। দেশের সম্পদ দেশেই কাজে লাগানো যাবে। এমন সুন্দর মা-মাটির দেশ এই পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। আমরা বাঙ্গালী জাতি বুঝতে সক্ষম নই। আমরা বাঙ্গালী প্রতিটি সেক্টরে মেধা সম্পদ ও জন সম্পদ কাজে লাগিয়ে দক্ষ সম্পদে রুপান্তরিত করতে পারব বলে আমাদের বিশ্বাস। সত্যি আমরা বাঙ্গালী, আমরা স্বদেশের মাটিতে উৎপাদন করে নতুন কিছু সৃষ্টিশীলতাকে প্রাধান্য দেই। বিশ্ব দরবারে আমরা তাল মিলিয়ে চলি। বিশ্ব দরবারে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি দেশ বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে দেই। "আমরা বাঙ্গালী, আমরা সবকিছু পারি" এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বীরের মতো মাথা উঁচু করে নিজ দেশেই নতুন নতুন সৃষ্টিশীলতাকে কাজে লাগাই। এক পর্যায়ে বিশ্বের কাছে রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে ঠিক তখন বিদেশী জন সম্পদ স্বদেশে কাজে লাগিয়ে বিশ্ব দরবারে একটি সোনার বাংলাদেশ স্বর্ণাক্ষরে ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। আমরা দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করি, আসুন, সকলেই যার যার অবস্থান থেকে মেধা সম্পদ ও দক্ষ জন সম্পদ নিজেদের স্বদেশে কাজে লাগিয়ে সৃষ্টিশীল উৎপাদিত পণ্য বিশ্ব বাজারে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করি। তাহলে হবে দেশের রাজা দেশেই সেরা। কারো পরনির্ভরশীল হতে হবে না। একটু মেধা ও শ্রম বুদ্ধি, বিচার, বিশ্লেষণ ও বিবেচনা করলেই সবকিছুই স্বদেশের মাটিতে সম্ভব। অসম্ভব বলতে কিছু নেই। চেষ্টা ব্যতীত কেউ কিছু পায় না। আপনি, আমি ও আমরা সকলেই মিলে চেষ্টা করলে সবই সম্ভব।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,নির্বাহি সম্পাদক : মোঃ বেনজীর হোসেন,বার্তা সম্পাদক : চন্দন ভট্টাচার্য্য, উপদেষ্টা : এ্যাড. সরদার আবুল হাসেম ডাবলু, উপদেষ্টা : তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু। মোবাইল : 01639924798, অফিস : রামনগর (মজিবর মোড়) , রূপসা, খুলনা।1260