মুহম্মদ মহসীন :
বিনয়কে জীবনের অংশ হিসেবে ধারণ করে তিনি ছড়িয়ে চলেছেন সৃষ্টিশীলতার সুন্দর নিজস্বতায়। সাহিত্য সভ্যতার আলোকে নির্মিত তাঁর চিন্তা ও কর্ম তাঁকে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সুপরিচিত করেছে। তিনি হাসান টুটুল একজন কবি, কথাসাহিত্যিক, শিশুতোষ সাহিত্যিক এবং সামাজিক ভাবনার অনন্য যাত্রী। শৈশব থেকে সাহিত্যচর্চার প্রতি গভীর অনুরাগ তাঁকে গড়ে তুলেছে একজন সফল লেখক হিসেবে। শিশুতোষ সাহিত্য দিয়ে শুরু হলেও তাঁর কলমে স্থান পেয়েছে প্রেম, প্রকৃতি, সামাজিক দর্শন, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ এবং মানবিকতার গল্প। শিশু কৃষকদের নিয়ে লেখা তাঁর সৃষ্টিগুলো যেমন শিশুমনের কাছে আনে নতুন পরিচিতি, তেমনি প্রকৃতি ভাবনা তাঁকে করে তুলেছে উদার ও মুক্তমনা। প্রেম-ভালোবাসার কবিতা ও গদ্য তাঁর সাহিত্যকে করেছে পাঠকনন্দিত। ইতোমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কয়েক ডজন গ্রন্থ। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, রহস্য গল্প, শিশুতোষ রচনা সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যময় সাহিত্যকর্ম তাঁকে বাংলা সাহিত্যের এক মূল্যবান সম্পদে পরিণত করেছে। তবে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ ছিল তাঁর জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সমাজের অশুভ শক্তি ও অনাচারের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন দৃপ্ত সাহসে, কিন্তু প্রতিশোধ চর্চা থেকে বরাবরই দূরে থেকেছেন। কারণ, তাঁর বিশ্বাস সাহিত্য কেবলমাত্র রুচি বা বিনোদনের বিষয় নয়, বরং দায়িত্বেরই একটি অনিবার্য কাজ। এই বিশ্বাস থেকেই তিনি সামাজিক কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণে যেখানে ভালো কাজের সুযোগ, সেখানেই যুক্ত হয়েছেন তিনি। ফলে সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সমাজ সেবাতেও তিনি সমানভাবে পরিচিত। মানুষ, মানুষত্ব ও বিবেকের পাহারাদার এই অভিধান গুলো যৌক্তিকভাবেই শোভা পায় তাঁর নামের পাশে। বাংলা সাহিত্যে এপার বাংলা এবং ওপার বাংলায় সমানভাবে তিনি পরিচিত। তাঁর কাব্যগ্রন্থ গুলো যেমন পাঠকের মনে স্থান করে নিয়েছে, তেমনি বিশ্ব বাংলা সাহিত্যের ভাণ্ডারেও ছড়িয়েছে তাঁর সৃষ্টিশীলতার আলো। ব্যক্তিত্ব ছড়ানো এক লেখক হিসেবে তিনি সমাজ ও রাষ্ট্রের সম্মান কুড়িয়েছেন ব্যাপকভাবে। হাসান টুটুল কেবলমাত্র সাহিত্যেই সীমাবদ্ধ থাকেননি, বরং ভ্রমণপ্রিয় একজন মানুষ হিসেবেও তিনি সুপরিচিত। তাঁর হাতের ছোঁয়া লেগেছে দেশের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যে। সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘ সময় ব্যাংক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যা তাঁর জীবনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়। নব্যক্তিগত জীবনে তিনি সুখী দাম্পত্যের অধিকারী। দুই সন্তানের জনক এই কথাসাহিত্যিক পারিবারিক জীবনেও দায়িত্বশীল ও স্নেহময়। ১৯৬৫ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার আমলায় জন্মগ্রহণকারী হাসান টুটুল আজ বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নাম। সাহিত্যকর্ম, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে সক্রিয় উপস্থিতির মধ্য দিয়ে তিনি কেবল একজন লেখকই নন, বরং এক অনন্য ব্যক্তিত্ব, যিনি পাঠকের হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,নির্বাহি সম্পাদক : মোঃ বেনজীর হোসেন,বার্তা সম্পাদক : চন্দন ভট্টাচার্য্য, উপদেষ্টা : এ্যাড. সরদার আবুল হাসেম ডাবলু, উপদেষ্টা : তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু। মোবাইল : 01639924798, অফিস : রামনগর (মজিবর মোড়) , রূপসা, খুলনা।1260