রূপসা বাজার ফুটপাত ও রাস্তা দখল রাখায় পথচারীও যানচল বিঘ্নিত,ছাত্র সমাজ,উপজেলা প্রশাসন ও বাজার কমিটির পরিকল্পনা গ্রহণ

নিজস্ব প্রতিনিধি
রূপসা উপজেলার পূর্ব রূপসা বাজারে ফুটপাত ও সড়ক দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করায় সাধারণ পথচারীদের ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃস্টি। জনমনে অসন্তোষ প্রকাশ।সকাল ৯ টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত গরুর হাটের সামনের রোড,দারুসসালাম জামে মসজিদ গেটের আশ পাশ,বাজারের মোড়ে এতো বেশি যানজট সৃষ্টি হয় পথচারী ও যানবাহনে চলাচলকারী যাত্রীরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে। সড়কের উপর ভ্যান দাঁড় করিয়ে সব্জি, ফলমূল,কাঁচা বাজার বিক্রি করায় জানজট তৈরি করতে বড় ভূমিকা রাখছে।কোন দোকান বা প্রতিষ্ঠানের সামনে ফুটপাত তো নেই। ফুটপাত হয় অন্য কোন ছোট ব্যবসায়ীকে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া দিয়েছে নতুবা নিজের দোকানের মালামাল রেখে দখল রেখেছে।বাজারের মোড়ে রিপন স্টোর নামক প্রতিষ্ঠান তেলের ড্রাম,বস্তাভর্তি মালামাল ফুটপাতসহ সড়ক দখল রেখেছে।এছাড়া বাজারে ঢুকতে দোকানের কোণে ফলব্যবসায়ীকে ভাড়ার বিনিময়ে বসিয়ে বিশৃঙ্খলা ও যানজটের দুর্ভোগ কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।বাজার মোড়টি একটা জনবহুল ও ব্যস্ততম মোড়।বাজার মোড়ের পূর্ব পাশে অনাকাঙ্ক্ষিত একটি কাঁচামালের দোকান বসিয়ে ফুটপাতসহ রাস্তা ব্লক হয়েছে।কাঁচামাল, সব্জি কিনতে কাস্টমার রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে কেনাকাটা করায় ভ্যান,অটো,সাইকেল,মোটরসাইকেল এর সাথে প্রায়শই দূর্ঘটনাসহ ঝক্কি ঝামেলা লেগে আছে।
পূর্ব রূপসা বাজার টি সত্তর দশকের আগে থেকে তৎকালীন রেলওয়ে পুরাতন বাজার রোডে অবস্থান ছিলো।স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাজারটির অবস্থান বৃদ্ধি পায়।শনি,মঙ্গলবার হাট ও নিয়মিত খুচরা,পাইকারি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যদ্রব্যসহ, মাছ-তরকারী ক্রয়-বিক্রয় চলমান ছিলো। কিন্তু আশির দশকের শেষদিকে নদী ভাঙ্গনের কবলে পড়ে বাজারটি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যায়।পরবর্তীতে পূর্বদিকে সরে গিয়ে বর্তমান বাজার মোড়ে থেকে পুরাতন রেলস্টেশন মোড় ও ব্যাংক মোড় পর্যন্ত বিস্তৃত লাভ করে।বাজারটির অবস্থান রেলওয়ে ভূ-সম্পত্তির উপর হওয়ায় অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ রেলওয়ে বিভাগীয় ভূ-সম্পত্তি কর্মকর্তার কার্যালয়, পাকশী অফিস হতে বন্দোবস্ত নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা বা চুক্তি ভিত্তিক ভাড়া দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে। রূপসা ব্যাংক মোড় হতে সড়ক ও জনপথ (আর -৭৭১) এর বাগেরহাটগামী ( পুরাতন বাগেরহাট) সড়কের দুপাশে গড়ে উঠেছে স্থাপনা, দোকান,ব্যবসা,প্রতিষ্ঠান। রেলওয়ের ভূ-সম্পত্তি হওয়ায় ফাঁকা জায়গা পেয়ে অনেকে দখল নিয়ে পরবর্তীতে রেলওয়ের চাপে পড়ে অনেকে বন্দোবস্ত করতে বাধ্য হয়। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে রেলওয়ের ফাঁকা জায়গাগুলি পরিকল্পনাহীন এলোমেলোভাবে স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান তৈরি করায় অধিকাংশ দোকান ও প্রতিষ্ঠানের সম্মুখভাগ সড়কের উপর উপচে পড়ছে।সড়ক ও জনপথের হিসাব অনুযায়ী সড়কটির প্রস্থের জন্য কাগজ কলমে ৩০ ফুট জায়গা নির্ধারণ করা থাকলেও বাস্তবে চিত্র ভিন্ন।৩০ ফুটের স্থলে সড়কের দু’পাশে ড্রেনসহ কোথাও ১৮ ফুট কোথাও ২০ ফুটের মত জায়গা ব্যবহৃত হচ্ছে। যদি সড়ক ও জনপথের হিসাব অনুযায়ী তাদের সড়কের জায়গা অবমুক্ত করে তবে বাকি ১০ ফুট জায়গা সড়কের দু’পাশের অধিকাংশ দোকান,প্রতিষ্ঠানের ভিতরের জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।
গত কয়েকদিন আগে রূপসার বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা রূপসা বাজারের কর্মকর্তা ও রূপসা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে আলোচনায় বসে।এবং বাজারের ফুটপাত ও সড়কের দখলদারিত্বের সচিত্র অবলোকন করেন।উপজেলা প্রশাসন,বাজার কমিটির কর্মকর্তা, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ ও বাজার ব্যবসায়ীদের নিয়ে আলোচনা ও সমাধান করে দেন।আগামী ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে রূপসা বাজারের রাস্তার দু’পাশের ফুটপাত ও রাস্তার উপর কোন ব্যবসা করা,ফুটপাত দখল করা,মালামাল রাখা যাবে না।প্রয়োজনে উচ্ছেদকৃত এসকল ব্যবসায়ীদের নির্ধারিত স্থানে ব্যবসা করার সুযোগ করে দেওয়া হবে।মাছ,মাংশ,মুরগী,কাঁচা বাজার,সব্জী বিক্রেতা,টুকিটাকি পণ্য বিক্রেতাদের নির্ধারিত সুন্দর ব্যবস্থাপনায় ব্যবসা করার সুযোগ সৃষ্টি করে দেবার জন্য রূপসার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ,উপজেলা প্রশাসন রূপসা,রূপসা বাজার বণিক সমিতি ও রূপসা বাজারের সকল ব্যবসায়ীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে ক্রেতা সাধারণ ও এলাকাবাসী।
বঙ্গ নিউজ ওয়েবসাইট থেকে কোনো তথ্য গ্রহণ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের অনুমতি ব্যতীত বঙ্গ নিউজ ওয়েবসাইটের কোনো সংবাদ, ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য কনটেন্ট হুবহু বা আংশিক কপি, সংরক্ষণ, ব্যবহার বা পুনঃপ্রকাশ করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয়। এই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড চিহ্নিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের কনটেন্ট ব্যবহার করতে চাইলে অনুগ্রহ করে আগে আমাদের লিখিত অনুমতি গ্রহণ করুন।
বঙ্গ নিউজ কর্তৃপক্ষ

























মন্তব্য: