ব্যারিস্টার রফিক -উল হক এর আজ মৃত্যু বার্ষিকী
বঙ্গ ডেস্ক :
ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। পশ্চিমবঙ্গ যুব কংগ্রেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট,
বাংলাদেশের সুপ্রীম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশের প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল,
একজন দানবীর ও সমাজসেবক।
১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর বৃটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে রফিক উল হক জন্মগ্রহণ করেন।
ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের বাবা মুমিন উল হক পেশায় ডাক্তার হলেও চব্বিশ পরগনা মিউনিসিপালিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। ডাক্তারী ও জমিদারি ছেড়ে গণমানুষের জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছিলেন।ঢাকা ফার্মগেটে ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতাল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের দাদার গড়া প্রতিষ্ঠান।
১৯৫১ সালে কলকাতার চেতলা স্কুল থেকে রফিক-উল হক ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।
১৯৫১ সালে কলকাতা ইসলামিয়া কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন।
১৯৫৫ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন।
১৯৫৭ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শন বিষয়ে এমএ পাশ করেন।
১৯৫৮ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি পাশ করেন।
১৯৬০ সালে কলকাতা হাইকোর্টে আইন পেশায় যোগ দেন।
১৯৬০ সালে ডাক্তার ফরিদা হকের সাথে রফিক উল হক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিশ্ব থেকে গুটি বসন্ত রোগ নির্মূলে বিশেষ অবদান ছিল ডা: ফরিদা হকের। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা স্বর্ণ পদক দিয়ে ডা: ফরিদা হককে সম্মানিত করেছিলেন। কাউ পক্স নির্মূলের জন্য বিশেষজ্ঞ হিসেবে রাশিয়া ও মঙ্গোলিয়ায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল ডা: ফরিদা হককে।
১৯৬১ সালে ইংল্যান্ড থেকে রফিক উল হক ব্যারিস্টার ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৬২ সালে ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশায় যোগদান করেন।
১৯৬৫ সালে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টে অ্যাডভোকেট হিসেবে যোগ দেন।
১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে বিভিন্ন খসড়া আইন তৈরিতে কাজ করেন, যার মধ্যে একটি আইন ছিল জাতীয়করণ আদেশ।
১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আপিল বিভাগে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।
১৯৭৫ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালতের আপিল বিভাগে সিনিয়র আইনজীবী হিসাবে যোগদান করেন।
১৯৭৭ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাসনামলে খসড়া আইন তৈরিতে কাজ করেন।
১৯৭৭ সালে কোম্পানী আইন সংস্কার কমিটির সদস্য হন। বাংলাদেশের শেয়ার বাজার উন্নয়ন কমিটিতে দায়িত্ব পালন করেন।
১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করেন।
ব্যারিষ্টার রফিক উল হক হাজারো মামলায় অংশ নিয়েছেন। প্রায় ৫০০টি মামলা আইন সাহিত্যে প্রকাশিত হয়েছে।
২০০৬ সালে বাংলাদেশের রাজনৈতিক সঙ্কটের সময় তৎকালীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলার অভিযোগ আনা হয়।সেই সময় ব্যারিষ্টার রফিক উল হক দুই নেত্রীর আইনের পরামর্শক ছিলেন।
২০১১ সালে ব্যারিষ্টার রফিক উল হকের স্ত্রী ডা: ফরিদা হক মৃত্যু বরন করেন।
২০২০ সালের ২৪ অক্টোবর ব্যারিষ্টার রফিক উল হক ঢাকা আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরন করেন।
ব্যারিষ্টার রফিক উল হকের এক ছেলে ফাহিম-উল হক। কানাডায় বসবাসরত পেশায় একজন ব্যারিস্টার। পুত্রবধু রোকেয়া হক একজন ব্যারিষ্টার,কানাডায় আছেন।
Developed by bd it support
