বাজারে ফলমূলের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কাছে দূর্লভ খাবারে পরিণত হয়েছে | বঙ্গ নিউজ

বাজারে ফলমূলের দাম আকাশচুম্বী হওয়ায় নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের কাছে দূর্লভ খাবারে পরিণত হয়েছে

2 October 2024, 2:09:14

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ

ইসলাম ধর্মে বর্ণিত আছে আল্লাহ মানবজাতী সৃষ্টির সাথে ফলের বাগানের একটা সম্পৃক্ততা রেখেছেন ।বেহেশত বা জান্নাতে থাকবে ফল ও ফুলের বাগান। প্রথম মানব ও নবী হযরত আদম (আ:) কে নিষিদ্ধ গন্ধক ফল সেবন করায় জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নির্বাসিত করা হয়েছিলো। মানুষের শরীরের জন্য শুধু মাছ,ভাত,মাংশ খেলে সুস্থ বা নীরোগ থাকা সম্ভব নয়।মানব শরীরে রক্তের শর্করা, এসিড দূরীকরণ, ভিটামিন,পুষ্টি ও শরীরের কার্যক্ষমতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ফলমূলের উপকারিতা অপরিসীম। একটা সময় মানুষ আত্মীয় স্বজনের বাড়ি বেড়াতে গেলে নিজস্ব বাগানের ফলমূল, মিষ্টি নিয়ে যেতো।এরপর শ্বশুর বাড়ী, জামাই বাড়ী,বেয়াই বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার সময় মিষ্টি নিয়ে যেতো।পরবর্তীকালে ডায়াবেটিস রোগের বিস্তার ঘটায় মিষ্টি নিয়ে আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি যাওয়া কমে যায়।শুধু মাত্র বিশেষ আত্মীয় ও শুভকাজে মিষ্টি নিয়ে যাওয়া হতো।
তখন থেকে ফলমূলের বিক্রি ও খাওয়ার প্রভাব বৃদ্ধি পায়।অফিস, আদালত, মিটিং,সেমিনার,রোগী দেখতে,আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যেতে বিভিন্ন প্রকার ফল নিয়ে যাওয়াটা একটা আধুনিকতার পরিচয় বহন করে।বাংলাদেশের সকল ছোট বড় বাজার,মার্কেট,বাস স্ট্যান্ড,ঘাট,হাট,হাসপাতালের সামনে ছোটবড় ফলের দোকান দেখা যায়। দোকানগুলিতে বিভিন্ন ঋতুর ফলসহ আপেল,আঙ্গুর,বেদানা,কমলা,মালটা,পেয়ারা
সহ বাহারি ফল থরে থরে সাজানো গোছানো দৃশ্য দেখা যায়।

কেন ফল খাবেন:
**************
১। রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ রাখতে
২। হার্ট ভালো রাখতে
৩।শরীরের অভাব পূরণ করতে
৪।শরীরের বিষাক্ত ক্রিয়া হ্রাস করতে
৫। শরীরের এসিডের পরিমাণ কমাতে
৬।শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়াতে
৭।দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে
৮।শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করে
৯।ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে
১০। ক্যান্সারের জীবানু ধ্বংস করতে

ফল এন্টিবায়োটিক হিসাবে কাজ করে:
**********************************
একজন খ্যাতিমান পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশি বলেন,আমাদের দেশে যে সকল ফল যে ঋতুতে উৎপাদন হয় সেই ফলগুলি ভক্ষণে ঐ ঋতুতে যে সকল রোগ হয় তার প্রতিরোধক হিসাবে শরীরে এন্টিবডি বা প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। গ্রীষ্মকাল,বর্ষাকাল,শীতকালে রসালো ফল পাওয়া যায় সেগুলি ঐ সিজনের রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে থাকে।

কিছুদিন আগের ফলের দাম ও বর্তমান সময়ের দাম:
**********************************************
১। আপেল (ক্যারেট-/২০কেজি)-৩০০০-৩৫০০ /৬০০০ টাকা।
২।আঙ্গুর (ক্যারেট/২০কেজি)-২০০০ /৩০০০ টাকা।
৩।বেদনা (ক্যারেট/২০ কেজি)-৪০০০ / ৯০০০ টাকা।
৪।মাল্টা (ক্যারেট/২০ কেজি)-২০০০/৪০০০ টাকা।
৫।চায়না লেবু(ক্যারেট/২০কেজি)-২০০০/৪০০০ টাকা।
৬।খেজুর কলমী ৪০০/ কেজি /১২০০ টাকা।
৭।মরিয়ম খেজুর ৩০০০/ কার্টুন / ৬০০০ টাকা/ কার্টুন
৮।আজুয়া ২২০০ টাকা/কার্টুন /৪৫০০টাকা/কার্টুন
৯।মাসরুম ২০০০টাকা/কার্টুন /৪৫০০ টাকা/ কার্টুন
১০। বস্তার লুজ খেজুর ৮০/কেজি /১৫০ টাকা/কেজি।

উপরোক্ত দামে ফলের দোকানীরা আড়ৎ থেকে উচ্চমূল্যে পাইকারী দামে আগের তুলনায় বেশি দামে কিনছে।ফলে বাজারে কোন ফল ৩৫০ টাকার নিচে খুচরা দামে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে না।এ ব্যাপার একজন ফলের আড়ৎদারের সাথে কথা বলে জানা যায়,ভ্যাট,মজুত ও আড়তের খরচ,লেবার ,পরিবহন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং আমাদানি করা দেশে ফলের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় এর প্রভাব সমগ্র দেশের ফলের বাজারে পড়েছে।

২০০/২৫০/৩০০/৩৫০ টাকার ফলের দাম ৩৫০/৪০০/৪৫০/৫০০ টাকা হওয়ায় সাধারণ নিম্ন আয়ের ও মধ্যম আয়ের মানুষেরা ফল কেনা থেকে গুটিয়ে নিচ্ছে।তারা শুধুমাত্র দেশীয় ফলের উপর নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছে। আম,কাঁঠাল, কলা,পেয়ারা,লিচু,দেশী মালটা,বাতাবি লেবু,তরমুজ,বাঙ্গি,আখ,পেঁপে র উপর নির্ভর হয়েছে।
এভাবে দিনদিন ফলের দাম বৃদ্ধি পেলে দামের আতঙ্কে
পরবর্তী প্রজন্ম বাহারী ফলের স্বাদ ও গুনাগুন থেকে বঞ্চিত হবে।

বঙ্গ নিউজ ওয়েবসাইট থেকে কোনো তথ্য গ্রহণ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমাদের অনুমতি ব্যতীত বঙ্গ নিউজ ওয়েবসাইটের কোনো সংবাদ, ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য কনটেন্ট হুবহু বা আংশিক কপি, সংরক্ষণ, ব্যবহার বা পুনঃপ্রকাশ করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয়। এই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড চিহ্নিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আমাদের কনটেন্ট ব্যবহার করতে চাইলে অনুগ্রহ করে আগে আমাদের লিখিত অনুমতি গ্রহণ করুন।

 বঙ্গ নিউজ কর্তৃপক্ষ

মন্তব্য: