নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
রূপসা ঘাটের এপার-ওপার,বাস স্ট্যান্ড,রূপসা বাজার,সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাক্সহাতে বন্যার্তদের জন্য সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কয়েকশত ছেলে-মেয়েরা অর্থ সংগ্রহ করে যাচ্ছে । বন্যার্তরা খুব ঝুঁকিপূর্ণ ও খাদ্যাভাবে আছে জেনে দেশের মানুষের কোমল হৃদয়ে নাড়া দিয়েছে। বিভিন্ন সংগঠন ও সেচ্ছাসেবীরা বন্যার্তদের ত্রাণ বা খাদ্যসামগ্রী,প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেবার কথা বললে সাধারণ যে কোন মানুষ তার অবস্থান থেকে যতটুকু সম্ভব সহযোগীতা করে থাকে।
কারা প্রকৃত বন্যার্তদের সাহায্যের জন্য কাজ করছে সেটা নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ পথচারীরা বিভ্রান্তিতে আছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্ষুদ্র একজন ব্যবসায়ী বলেন - সকালে দোকান খোলার পর থেকে জোটবদ্ধ হয়ে দফায় দফায় ছাত্র ছাত্রীরা হাতে বাক্স নিয়ে এসে বন্যার্তদের সাহায্য নিতে আসে।ফেনী, নোয়াখালীর বন্যার ১ দিন পর থেকে আরম্ভ হয়েছে এই অর্থ সংগ্রহ আজও অব্দি চলমান। আর আদায়কৃত অর্থ সঠিকভাবে বন্যার্তদের কাছে পৌঁছাচ্ছে কি না সেটা আমরা জানতে পারছিনা।স্থানীয় কোন বিশ্বস্ত সংগঠন দ্বায়িত্ব নিয়ে ভালোভাবে কালেকশন করে সঠিকভাবে ত্রাণ তহবিল গঠণ করে তারা সেখানে গিয়ে প্রয়োজনীয় ত্রাণ উপঢৌকন পৌঁছে দিলে, বন্যার্তদের উপকার হবে।
পথচারী সাহেদ বলেন ছাত্র সেজে অনেকে এই সুযোগে সাধারণ মানুষদের কাছ থেকে আবেগকে ব্যবহার করে পথচারী, দোকান্দার,মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বন্যার্তদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে।যারা এই অর্থ সংগ্রহ করছে তারা আদৌ ছাত্র কিনা সেটা আমাদের জানা নেই এবং সংগ্রহীত অর্থ যথাযথ জায়গায় পৌঁছাবে কিনা সেটাও আমরা না জানি না।একই জায়গায় এতো সেচ্ছাসেবীরা বারবার আসলে ব্যবসায়ীরা ও সাধারণ পথচারীরা বিব্রতকর পরিস্থিতির স্বীকার হয়।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ ও নিবন্ধিত সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের প্রতি এলাকার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষের নিবেদন যেন অসাধু ব্যক্তি বা সংগঠন বন্যার্তদের সাহায্যের নামে সাধারণ মানুষদের নরম হৃদয়ে আবেগকে কাজে লাগিয়ে ফায়দা লুটে নিয়ে না যায়। পরবর্তীকালে দেশের মানুষের সাহায্যার্থে কোন সংগঠণ বা সেচ্ছাসেবীরা অর্থ তহবিল সংগ্রহ করতে মাঠে নামলে সাধারণ মানুষ তাদেরকে সহযোগিতা করতে অনীহা প্রকাশ করবে।এজন্য প্রতিটি এলাকায় নির্দিষ্ট বিশ্বস্ত সেচ্ছাসেবী সংগঠন,সামাজিক সংগঠনের নাম প্রকাশিত করা উচিত।যে সংগঠনগুলি এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে অর্থ, বস্ত্র,খাদ্য সামগ্রিক সংগ্রহ করে তহবিল গঠণ করে দুর্যোগপূর্ণ এলাকায় সাহায্য সহযোগিতা পাঠাতে কারো কোন সন্দেহ থাকবে না।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,নির্বাহি সম্পাদক : মোঃ বেনজীর হোসেন,বার্তা সম্পাদক : চন্দন ভট্টাচার্য্য, উপদেষ্টা : এ্যাড. সরদার আবুল হাসেম ডাবলু, উপদেষ্টা : তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু। মোবাইল : 01639924798, অফিস : রামনগর (মজিবর মোড়) , রূপসা, খুলনা।1260