
মো: মোশারেফ আলী সোহেল
শারদীয়া দুর্গোৎসব। শরতের কাশফুল আর শিউলি ফুলের সমাহারে আশ্বিন মাসে দেবী দুর্গার আগমনীই শারদীয় দুর্গাপূজা নামে পরিচিত। আজ মহালয়ার মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন শুরু হতে যাচ্ছে, অর্থাৎ পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবীপক্ষের সূচনার মধ্যদিয়ে শুরু হয়েছে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা।
মহালয়া মানে দুর্গাপূজার দিন গোনা। মহালয়ার পাঁচ দিন পরেই আসে মহাষষ্ঠী। ঢাক, শঙ্খ ও উলুধ্বনির মাধ্যমে সবদিকে ছড়িয়ে পড়বে পূজার বার্তা। আর তাই শেষ মুহূর্তে মন্দিরে মন্দিরে রং-তুলিতে সেজে উঠছে দশভুজা দেবী দুর্গা। আর এই উৎসবকে কেন্দ্র করে খুলনার পূজা মন্ডপগুলোতে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে বেশিরভাগ জায়গায় শেষ হয়েছে প্রতিমা গড়া, চলছে রঙ ও সাজসজ্জার কাজ। শেষ মুহূর্তে ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা তৈরির কারিগররা। খুলনা জেলা প্রশাসনের ত্রান শাখার তথ্য অনুযায়ী এ বছর খুলনা মহানগরে ৮টি থানায় ৭৭টি এবং জেলার ৯ উপজেলায় ৭৯০টিসহ খুলনায় মোট ৮৬৭টি গুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
এদিকে বছর ঘুরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ এই উৎসবকে ঘিরে মন্ডপে মন্ডপে যেমন বেড়েছে প্রতিমা শিল্পীদের ব্যস্ততা অপরদিকে পুজোর কেনাকাটা করতে নগরীর শপিংমল গুলোতে ভিড় জমিয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। শপিংমল ও বিপণিবিতানগুলো ক্রেতা-দর্শকে মুখরিত হয়ে উঠছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কেনাকাটা চলছে। কেউ কিনছেন, কেউ দেখছেন। তীব্র গরমে ঘেমে নেয়ে উঠলেও ভ্রুক্ষেপ নেই কারও। পছন্দের পোশাক কিনতে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ঘুরে বেড়াচ্ছেন ক্রেতারা।
শিববাড়ি মন্দির, ধর্মসভা, শীতলাবাড়ি, বড়বাজার, পুজোখোলাসহ নগরীর একাধিক পূজা মন্দির ঘুরে দেখা যায়, মন্দিরগুলোতে প্রতিমা শিল্পীদের কর্ম-ব্যস্ততা তুঙ্গে। অধিকাংশ মন্দিরে ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে প্রতিমা নির্মাণ এখন চলছে রঙ-তুলিতে দেবী দূর্গাকে রাঙিয়ে তোলার কাজ। কেসিসির ১৭নং ওয়ার্ডের হরিজন পল্লিতে প্রতিমা তৈরির কাজে প্রান্ত দাস বলেন, অন্যান্য বারের তুলনায় এবার পূজা মন্ডপের সংখ্যা কম। তাই আমাদেরও কাজের সংখ্যা কমেছে। এবার মাত্র একটি প্রতিমা তৈরির কাজ পেয়েছি। সর্বশেষ ১০-১৫ দিন আগে এখানকার মাটির কাজ শুরু করেছি, এখন পালিশের কাজ চলছে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে অধিকাংশ পূজামন্ডপের বাজেট কমেছে, আগে যে বাজেটে পূজা হতো কমিটি এবার তা অনেকটাই কমিয়েছে।
জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র ও ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নিদের্শনা মতে সব পূজামন্ডপে আনসার সদস্যরা সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকবে। এর সঙ্গে সেনা, নৌ, কোস্টগার্ড, পুলিশসহ যৌথবাহিনী পূজা শুরুর আগে থেকে উৎসবের দিনগুলোতে টহল দেবে। পূজামন্ডপে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা বসানো হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব বা মিথ্যা তথ্য ছড়ালে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আজান ও নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বন্ধ থাকবে। ডিসি অফিস, ইউএনও ও পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ২৪ ঘণ্টা চালু রেখে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হবে।
প্রকাশক ও সম্পাদক : মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান,নির্বাহি সম্পাদক : মোঃ বেনজীর হোসেন,বার্তা সম্পাদক : চন্দন ভট্টাচার্য্য, উপদেষ্টা : এ্যাড. সরদার আবুল হাসেম ডাবলু, উপদেষ্টা : তরুন চক্রবর্তী বিষ্ণু। মোবাইল : 01639924798, অফিস : রামনগর (মজিবর মোড়) , রূপসা, খুলনা।1260