জেলা পর্যায়ে সিটিএন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সভায় বক্তারা : সঠিক তথ্য জেনে বিদেশে গেলে প্রতারণার খপ্পরে পড়ার আশংকা থাকে না
নিজস্ব প্রতিনিধি:
মানব পাচার প্রতিরোধে জেলা পর্যায়ের সিটিএন সদস্যদের ত্রৈমাসিক সভায় বক্তারা বলেছেন, প্রলোভনে পড়ে দালালের মাধ্যমে নয়, সরকারিভাবে নিয়ম মেনে বিদেশে গিয়েই রেমিটেন্স যোদ্ধা হওয়া সম্ভব। বক্তারা মানব পাচার প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে এগিয়ে আসার আহবান জানান। বক্তারা আরও বলেন, সঠিক তথ্য জেনে বিদেশে গেলে প্রতারণার খপ্পরে পড়ার আশংকা থাকে না।
মানব পাচার প্রতিরোধে এনজিও ও সিএসও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে টেকসই সমন্বয় স্থাপন ও শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বুধবার (২২ অক্টোবর) সকাল ১০ টায় নগরীর সিএসএস আভা সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
রূপান্তরের নির্বাহী পরিচালক স্বপন কুমার গুহের সভাপতিত্বে জেলা পর্যায়ে কাউন্টার ট্রাফিকিং নেটওয়ার্ক এর এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর রিজিওনাল কো-অর্ডিনেটর শেখ মাসুদুল হাসান, কারিতাস বাংলাদেশের প্রোজেক্ট ম্যানেজার প্রভাস চন্দ্র বিশ্বাস, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংসস্থার সমন্বয়কারী এড. মোমিনুল ইসলাম, ব্র্যাক এর অশোক বালা, মাসাস-এর নির্বাহী পরিচালক শামীমা সুলতানা শিলু, ধ্রুব সংস্থার নির্বাহী পরিচালক রেখা মারিয়া বৈরাগী, নাগরিক ফোরামের সাধারন সম্পাদক এস এম ইকবাল হাসান তুহিন, এডোর সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মাহামুদুল হাসান, ব্লাষ্টের সমন্বয়ক এ্যাড: অশোক কুমার মন্ডল, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের মো : ইসমাইল হোসেন, জেজেএস’র হাসিবুল হাসান, দৈনিক কালের কন্ঠের ব্যুরো প্রধান এইচ এম আলাউদ্দিন, নবলোকের মামুন, সিটি একটিভিস্ট মাবিয়া খাতুন, রংমহল ফর ইওথ’র আলভি প্রমুখ।
সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের সহযোগিতায়, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল এর বাস্তবায়নে আশ্বস প্রকল্পের আওতায় রূপান্তরের আয়োজন করে এই সভা। রূপান্তর আশ্বাস প্রকল্পের প্রোজেক্ট কো-অর্ডিনেটর সুবল কুমার ঘোষের সঞ্চালনায় উক্ত সভার বিষয় বস্তু মাল্টিমিডিয়া উপস্থাপন করেন সিটিআইপি সদস্য মো: আ: ওয়াহিদ মোড়ল রনি।
সভায় অংশগ্রহনকারী সংগঠন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রূপান্তর, কারিতাস বাংলাদেশ, ব্র্যাক, অগ্রগতি সংস্থা, মাসেস, ঢাকা আহসানিয়া মিশন, জেজেএস, এওসেড, দলিত, ধ্রুব, নবলোক, এডোর, রঙমহল ফর ইয়ুথ, নাগরিক ফোরাম, ব্লাষ্ট, এএসডিডিডাব্লু, শিরোমনি যুব উন্নয়ন সংস্থা, বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস এজেন্সিসহ সিটিআইপি ও সারভাইভারসহ ১৯ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক ও বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, মানব পাচারে শিকার ব্যক্তির উদ্ধার থেকে শুরু করে তার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা এবং মানসিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুরক্ষার জন্য সেবা প্রদানকারী সরকারি ও বেসরকারি সকল সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আন্ত: যোগাযোগ ও সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
উক্ত সভায় মানব পাচারের ভয়াবহতা, কারণ, প্রতিরোধের কৌশল, মানব পাচার প্রতিরোধে কমিউনিটিকে সম্পৃক্তকরণে সিটিএন সদস্যদের ভূমিকাসহ সারভাইভারদের সুরক্ষার বিষয়ে বিশদ আলোচনা হয়। বক্তারা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন কার্যক্রমের সাথে মানব পাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন সম্পর্কে সচেতন করবে বলে একমত পোষন করেন।
Developed by bd it support
