চলে গেলেন একজন ভাষা সৈনিক আহমদ রফিক (১৯২৯-২০২৫)

বিধান চন্দ্র রায় /ঢাকা :
আহমদ রফিকের পেশাগত জীবন শুরু হয় একজন রসায়নবিদ ও শিক্ষক হিসেবে, কিন্তু তিনি তাঁর জীবনকে বিস্তৃত করেন লেখক, প্রাবন্ধিক, রবীন্দ্র গবেষক ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মী হিসেবে।
সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক চিন্তাবিদ হিসেবে গবেষণায় সক্রিয় থেকে তিনি সারাজীবন অতিবাহিত করেছেন।
পেশাগত জীবনে তিনি সুদীর্ঘ সময় ধরে শিক্ষকতার পাশাপাশি সাহিত্য চর্চা করেছেন। সাহিত্যিক, গবেষক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত হলেও তাঁর জীবনের সঙ্গে রাজনৈতিক চেতনা গভীরভাবে জড়িত ছিল। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি রাজনীতি ও সামাজিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।
আহমদ রফিক জন্মেছিলেন ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির ত্রিপুরা(কুমিল্লা)জেলার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মহকুমার শাহবাজপুরের নবীনগরে ১৯২৯ সালের ১২ ই সেপ্টেম্বর । তার পিতা আবদুল হামিদ এবং মাতা রহিমা খাতুন। তার সহধর্মিণী ছিলেন ডা. এস কে রুহুল হাসিন। তিনি ২০০৬ সালে স্ত্রীকে হারান।
আহমদ রফিক নিউ ইস্কাটনের গাউসনগরে একটি ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। তাদের কোন সন্তান ছিল না।
গ্রামের বিদ্যালয়ে তার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত হয়। মাধ্যমিক পড়াকালীন সময়ে তার পিতা প্রশাসনিক কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন নড়াইলে। সেই সূত্রে
১৯৪৭ সালে নড়াইল মহকুমা হাই স্কুল থেকে প্রবেশিকা (ম্যাট্রিক) পাশ করেন। পরে সরকারি হরগঙ্গা কলেজ, মুন্সীগঞ্জ থেকে ১৯৪৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন।পরে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে। একই সঙ্গে সুযোগ পান ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র থাকা কালে তিনি ভাষার অধিকারের দাবিতে সোচ্চার হন মিছিলে, সভায় ও সমাবেশে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে আহমদ রফিক ছিলেন প্রথম সারির কর্মী। সেই সময় তিনি ফজলুল হক হল, ঢাকা হল এবং মিটফোর্ড মেডিকেলের ছাত্রদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রক্ষাসহ প্রয়োজনীয় তৎপরতার মাধ্যমে আন্দোলনের সাংগঠনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
১৯৫৪ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজের আন্দোলন কারী ছাত্রদের মধ্যে একমাত্র আহমদ রফিকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। (ইস্কান্দার মির্জার গভর্নর ৯২ক ধারায়) আত্মগোপনে চলে যেতে বাধ্য হন তখন তিনি।১৯৫৫ সালের শেষের দিকে প্রকাশ্যে ফিরে এসে পড়াশোনায় মনোনিবেশ করেন। তিনি এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জন করলেও কখনো চিকিৎসক পেশায় যুক্ত হননি।
খুব ভালো রেজাল্ট করে ডাক্তারি পাশ করেছিলেন তিনি। কিন্তু ডাক্তারির চাইতে সাহিত্য আর বাম রাজনীতি তাঁর কাছে অগ্রাধিকার পেয়েছে সবসময়।
বের করেছিলেন আধুনিক সাহিত্য পত্রিকা ‘নাগরিক’।
ছাত্রজীবনের শুরু থেকে তিনি রাজনীতি ও ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত হন। যা তাঁর ভবিষ্যৎ জীবনের মূলধারা গড়ে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে তিনি সাহিত্য,রবীন্দ্র চর্চা ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে গভীরভাবে যুক্ত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার সময় (রসায়ন বিভাগে), তিনি ছাত্র আন্দোলন ও প্রগতিশীল রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হন।১৯৪৮ সাল থেকে তিনি পূর্ববাংলায় উদীয়মান বামপন্থী রাজনীতি ও সাংস্কৃতিক আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন।
নাচোল কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়ার কারণে মহিয়সী ইলা মিত্র গ্রেফতার হন পাকিস্তানি পুলিশের হাতে। অবর্ণনীয় অত্যাচারের সম্মুখীন হন তিনি ।
আটক হওয়ার পর তাঁকে প্রথমে রাজশাহী জেলে, পরে ঢাকায় আনা হয়। পাকিস্তানি পুলিশের অবর্ণনীয় অত্যাচারে মুমুর্ষূ অবস্থায় চিকিৎসাধীন ছিলেন ঢাকা মেডিক্যালে। সেটা ১৯৫০ সালের জানুয়ারি মাসের ঘটনা,আহমদ রফিক তখন ছাত্র। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র হিসেবে পুলিশ বেষ্টনী ভেদ করে ইলা মিত্রের কাছে বাইরের খবর পৌঁছে দিতেন তিনি। আবার ইলা মিত্রের খবর জানাতেন বাইরে।
তার হোস্টেলের রুম ছিল প্রগতিশীল রাজনীতি
বিদদের আশ্রয় স্থল। ভাষা আন্দোলনের সময় তার রুমে প্রথম শহীদ মিনার তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একরাতের মধ্যে সেই শহীদ মিনার তৈরি করা হয়েছিল।
১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনে তিনি প্রত্যক্ষভাবে অংশ নেন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র হিসেবে
মিছিল সভা-সমাবেশে নিয়মিত অংশগ্রহণ করেন।
আন্দোলনের সময় তিনি গ্রেফতারও হন। পরবর্তী সময়ে তিনি ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস ও তাৎপর্য নিয়ে বেশ কয়েকটি বই লেখেন। তার মধ্যে “ভাষা আন্দোলন : ইতিহাস ও তাৎপর্য”(১৯৯১) অন্যতম।
আজীবন তিনি বামপন্থী গণতান্ত্রিক আদর্শের সমর্থক ছিলেন।পাকিস্তান আমলে গণতন্ত্রবিরোধী ও সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে তিনি লেখনী ও বক্তৃতার মাধ্যমে প্রতিবাদ জানাতেন।তিনি বিশ্বাস করতেন, সংস্কৃতি ও রাজনীতি একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত, তাই প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তন সম্ভব।
নিচে আহমদ রফিকের কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের তালিকা দেওয়া হলো (লেখক, প্রবন্ধকার, গবেষক ও কবি হিসেবে) —
কবিতা
নির্বাসিত নায়ক (১৯৬৬) বাউল মাটিতে মন (১৯৭০)
রক্তের নিসর্গে স্বদেশ (১৯৭৯) বিপ্লব ফেরারী, তবু (১৯৮৯) পড়ন্ত রোদ্দুরে (১৯৯৪) শ্রেষ্ঠ কবিতা (১৯৯৮)
ভালোবাসা ভালো নেই (১৯৯৯) নির্বাচিত কবিতা (২০০১) মিশ্র অনুভূতির কবিতা (২০১৯) একগুচ্ছ রাজনৈতিক কবিতা (২০১৯)
ছোটগল্প
অনেক রঙের আকাশ (১৯৬৬)
প্রবন্ধ, গবেষণা ও অন্যান্য গদ্য
শিল্প সংস্কৃতি জীবন (১৯৫৮) নজরুল কাব্যে জীবন সাধনা (১৯৫৮) আরেক কালান্তর (১৯৭৭)বুদ্ধিজীবীর সংস্কৃতি (১৯৮৬) রবীন্দ্রনাথের রাষ্ট্রচিন্তা ও বাংলাদেশ (১৯৮৭) ছোটগল্প : পদ্মাপর্বের রবীন্দ্রগল্প (১৯৮৭)
একুশের ইতিহাস আমাদের ইতিহাস (১৯৮৮)ভাষা আন্দোলন : ইতিহাস ও তাৎপর্য (১৯৯১) ভাষা আন্দোলনের স্মৃতি ও কিছু জিজ্ঞাসা (১৯৯৩) এই অস্থির সময় (১৯৯৬) রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্প (১৯৯৬)
জাতিসত্তার আত্মঅন্বেষা
(১৯৯৭)রবীন্দ্রভুবন পতিসর বাংলা বাঙালি আধুনিকতা ও নজরুল (১৯৯৯) বাংলাদেশ : জাতীয়তা ও জাতিরাষ্ট্রের সমস্যা (২০০০) নির্বাচিত কলাম (২০০০) একাত্তরে পাকবর্বরতার সংবাদভাষ্য (২০০১) কবিতা, আধুনিকতা ও বাংলাদেশের কবিতা (২০০১) প্রসঙ্গ : রহুমাত্রিক রবীন্দ্রনাথ (২০০২)রবীন্দ্র ভাবনায় গ্রাম : কৃষি ও কৃষক (২০০২)ভাষা আন্দোলন : গ্রাম : কৃষি ও কৃষক (২০০২)নির্বাচিত প্রবন্ধ (২০০২)।
শিল্প কলা
রবীন্দ্রনাথের চিত্রশিল্প (১৯৯৬)
বিজ্ঞান
কেমন আছেন (চিকিৎসা বিজ্ঞান,১৯৮৭)আদি
মানবের সন্ধানে (নৃতত্ব, ১৯৮৯)ঔষুধ, চিকিৎসাসেবা : বৈষম্যের শিকার সাধারণ মানুষ (১৯৯৫)ফিট থাকুন, দেহে মনে (২০০১)এই পৃথিবীতে মানুষ (১৯৯৯)।
অনুবাদ
জীবন রহস্য (১৯৬৭) অণুর দেশে মানুষ (১৯৬৮)
বিজ্ঞানের জয়যাত্রা (১৯৬৮)
সম্পাদনা গ্রন্থ
নাগরিক (ত্রৈমাসিক সাহিত্যপত্র, ১৯৬৩-১৯৭১)দ্য ইস্ট পাকিস্তান মেডিকেল জার্নাল (১৯৬০-৭০)দ্য মেডিকেল ডাইজেস্ট (১৯৬০-৭০)পরিভাষা (১৯৬৮
-৭০)সুজনেষু (মিনি সাহিত্যপত্র, ১৯৭২-৭৬)বাংলা একাডেমীর চিকিৎসা বিজ্ঞান পরিভাষা কোষ (সংকলক ও তত্ত্বাবধায়ক সম্পাদক)।
আহমদ রফিকের (১৯২৯–২০২৫) শিক্ষাজীবন সম্পর্কিত তথ্য নিচে তুলে ধরা হলো-
মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেন এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে লেখালিখি করেন।স্বাধীনতার পর তিনি সামরিক শাসন, স্বৈরাচার ও কর্তৃত্ববাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে কলম ধরেন।বিভিন্ন সময়ে তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলন, মানবাধিকার ও সাংস্কৃতিক মুক্তির দাবিতে জোরালো কণ্ঠস্বর ছিলেন।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিষয়ে তিনি দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গবেষক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, সমাজ-সংস্কৃতি ও রাজনীতি নিয়ে ব্যাপক প্রবন্ধ লিখেছেন। তাঁর বইগুলো গবেষণা ধর্মী হলেও সাহিত্যিক ভাষার কারণে সাধারণ পাঠকের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়।
তিনি বিভিন্ন পত্রিকা ও সাময়িকীতে নিয়মিত প্রবন্ধ লিখতেন।প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে ছায়ানট, বাংলা একাডেমি এশিয়াটিক সোসাইটি ও রবীন্দ্র গবেষণা কেন্দ্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়াও তিনি বহু সাংস্কৃতিক
গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। “রবীন্দ্রতত্ত্ব” ও “ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস” বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করে তিনি একাধারে শিক্ষক ও জাতীয় গবেষক হিসেবে পরিচিতি পান।
আহমদ রফিক তাঁর ভাষা আন্দোলন,সাহিত্য কর্ম,
গবেষণা ও সাংস্কৃতিক অবদানের জন্য জীবদ্দশায় বহু পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেছেন। উল্লেখযোগ্য সম্মাননা ও পুরস্কারগুলো হলো–
১৯৭৯ সালে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার
১৯৯৫ সালে পেয়েছেন একুশে পদক – (সাহিত্য ও গবেষণায় অবদানের জন্য)
১৯৯৫ সালে পেয়েছেন অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার
১৯৯৬ সালে পেয়েছেন আনন্দ পুরস্কার – (ভারত থেকে প্রদান)
১৯৯৭ সালে পেয়েছেন রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য উপাধি – রবীন্দ্র গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য (টেগোর রিসার্চ ইনস্টিটিউট)
২০১১ সালে পেয়েছেন জাতীয় রবীন্দ্র পুরস্কার – (রবীন্দ্রচর্চায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য)
চট্টগ্রাম সাহিত্য পুরস্কার
জসীমউদ্দীন পদক
সেলিনা পারভীন সাহিত্য পুরস্কার
ফজলুল হক মেমোরিয়াল পদক
প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪২০।
আহমদ রফিকের রাজনৈতিক জীবন সরাসরি কোনো দলে সক্রিয় ছিলেন না। কিন্তু সারাজীবন
বামপন্থী চেতনা, ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও প্রগতিশীল সাংস্কৃতিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল তার। তিনি আজীবন কলম, চিন্তা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংগ্রামে যুক্ত থেকেছেন।
২০১৯ সাল থেকে দৃষ্টিশক্তি হ্রাস পেতে থাকে তাঁর । ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যাওয়ার পর তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটে। ২০২৩ সাল নাগাদ প্রায় দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েন তিনি।
নানাবিধ শারীরিক সমস্যায় তিনি ভুগছিলেন দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ,ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর,শয্যা-ক্ষত,
আলঝেইমার’স ডিজিজ, পার্কিনসন’স ডিজিজ, ইলেক্ট্রোলাইট ইমব্যালান্স ও ফুসফুসের সংক্রমণে ভুগছিলেন।কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা তাকে কাহিল করে ফেলেছিল।একাধিকবার মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছিল তার। অক্সিজেন সাপোর্টে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ছিলেন মৃত্যুর আগে। ০২ অক্টোবর ২০২৫ রাত ১০ টা ১২ মিনিটে তিনি ঢাকার বারডেম হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায়
মৃত্যু বরন করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর।
প্রগতিশীল চিন্তা ও সমাজ-সচেতনায় সক্রিয় একজন ব্যক্তিত্ব ছিলেন তিনি। জানা গেছে, মৃত্যুর আগে তিনি তাঁর মরদেহ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক হাসপাতালমেডিক্যাল কলেজে দান করে গেছেন।
জাতীয় কবিতা পরিষদের আয়োজনে সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের জন্য ভাষা সৈনিক ও রবীন্দ্র বিশেষজ্ঞ আহমদ রফিকের লাশ ০৪ অক্টোবর সকাল ১০টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হয়। তারপর তাকে বারডেম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বঙ্গ নিউজ ওয়েবসাইট থেকে কোনো তথ্য গ্রহণ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের অনুমতি ব্যতীত বঙ্গ নিউজ ওয়েবসাইটের কোনো সংবাদ, ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য কনটেন্ট হুবহু বা আংশিক কপি, সংরক্ষণ, ব্যবহার বা পুনঃপ্রকাশ করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয়। এই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড চিহ্নিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের কনটেন্ট ব্যবহার করতে চাইলে অনুগ্রহ করে আগে আমাদের লিখিত অনুমতি গ্রহণ করুন।
বঙ্গ নিউজ কর্তৃপক্ষ

























মন্তব্য: