একজন ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন

বিধান চন্দ্র রায় /ঢাকা:
“রাস্ট্রভাষা বাংলা চাই ” স্লোগানে রাজপথ উত্তপ্ত হয়েছিলো ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রদের মাধ্যমে। সেই মিছিলে জীবন বাজি রেখে ছাত্ররা দূর্বার আন্দোলন গড়ে তোলে। তাদের মধ্যে অন্যতম সদস্য ভাষা সৈনিক আব্দুল মতিন (যিনি “ভাষা মতিন” নামেও পরিচিত)।আজ তার সম্পর্কে কিছু জানবো:
🔹 তিনি জন্মেছিলেন ১৯২৬ সালের ০৩ ডিসেম্বর,
সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি উপজেলার খামারবাড়ি গ্রামে। জন্মের পর তার ডাক নাম ছিল গেদু। তার বাবার নাম আব্দুল জলিল এবং মায়ের নাম আমেনা খাতুন। তিনি ছিলেন তাদের প্রথম সন্তান।
🔹ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে অধ্যয়ন করেছেন।
১৯৫২ সালে ছাত্রদের পক্ষে ভাষা আন্দোলনের অন্যতম মুখপাত্র ছিলেন। “রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই” আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে জেল খেটেছেন প্রায় দেড় বছর (প্রায় ১৮ মাস)।
🔹পেশাগত জীবনে তিনি বাংলাদেশ সরকারের পরিকল্পনা কমিশনের উপপরিচালক (Deputy Director) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসরের আগ পর্যন্ত পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
🔹ভাষাসৈনিক আবদুল মতিন তাঁর জীবদ্দশায় বেশ কিছু পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন।
# দৈনিক জনকণ্ঠ গুণিজন ও প্রতিভা সম্মাননা ১৯৯৮ : পুরস্কারস্বরূপ ১ লক্ষ টাকা, প্রতিমাসে অণুদান ৫ হাজার টাকা,
# প্রবাসী বাঙালীদের উদ্যোগে আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে ২১ ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সংবর্ধনা, ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০০০,
# একুশে পদক ২০০১,
# বাংলা একাডেমি কর্তৃক ফেলোশিপ প্রদান, ২৮ ডিসেম্বর, ২০০১
# বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর কর্তৃক সম্মাননা স্মারক, ২০০২,
# ভাষা সৈনিক সম্মাননা পরিষদ, সিলেট কর্তৃক ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষে সংবর্ধনা প্রদান, ২০০২,
# আহমদ শরীফ স্মারক পুরস্কার, ২০০৩,
# জাতীয় প্রেসক্লাব কর্তৃক উন্নয়ন অর্থনীতি স্বর্ণপদক ২০০৪, ১৩ আগস্ট, ২০০৪,
# শেরে বাংলা জাতীয় পুরস্কার, ২০০৪
# মুক্তিযুদ্ধ গণপরিষদ কর্তৃক সম্মাননা, ১৪ মে, ২০০৫
# দৈনিক আমাদের সময় কর্তৃক সম্মাননা, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০০৬,
# ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৪৪তম সমাবর্তন উপলক্ষে একাডেমিক কাউন্সিল কর্তৃক ‘ডক্টর অব ল’জ’ (সম্মানসূচক ডিগ্রি), ২০০৮,
# ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার, ২০০৮,
# একুশে টিভির পক্ষ থেকে আজীবন সম্মাননা,
# ভাষা সৈনিক চারণ সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহম্মদ স্মারক সম্মাননা, ২০১০,
# ঢাকার ৪০০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা রত্ন সম্মাননা, ২০১০,
# মানবাধিকার ও পরিবেশ সোসাইটি (মাপসাস) কর্তৃক মাপসাস শান্তি পদক, ২০১০,
# কবি আবু জাফর ওবায়দুল্লাহ পুরস্কার, ২০১০,
# মহাত্মা গান্ধি পিস অ্যাওয়ার্ড, ২০১০,
# দৈনিক কালের কণ্ঠের আজীবন সম্মানা পুরস্কার, ২০১০।
🔹 আব্দুল মতিন ২০১৪ সালের ০৮ অক্টোবর সকাল ৯ টার সময় ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে(বিএসএমএমইউ)চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এর আগেও দীর্ঘদিন তিনি এই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তিনি মরণোত্তর চক্ষু ও দেহদান করেন বিজ্ঞানের প্রয়োজনে এটি ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম আলোচিত দেহ দানের ঘটনা।
বঙ্গ নিউজ ওয়েবসাইট থেকে কোনো তথ্য গ্রহণ করলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের অনুমতি ব্যতীত বঙ্গ নিউজ ওয়েবসাইটের কোনো সংবাদ, ছবি, ভিডিও বা অন্যান্য কনটেন্ট হুবহু বা আংশিক কপি, সংরক্ষণ, ব্যবহার বা পুনঃপ্রকাশ করা আইনগতভাবে দণ্ডনীয়। এই ধরনের কোনো কর্মকাণ্ড চিহ্নিত হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আমাদের কনটেন্ট ব্যবহার করতে চাইলে অনুগ্রহ করে আগে আমাদের লিখিত অনুমতি গ্রহণ করুন।
বঙ্গ নিউজ কর্তৃপক্ষ

























মন্তব্য: